
আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ করার চাইতেও বেশি জরুরী হলো আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীদের বিচার করা। যারা সাধারণ মানুষের অধিকার ক্ষুন্ন করেছে। যারা ভিন্নমতের রাজনীতিবিদদের মিথ্যা মামলা দিয়ে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর জেলবন্দি করে রেখেছিল। যারা হত্যা, গুম ও খুনের সাথে জড়িত ছিলো।
“আওয়ামীলীগ” সরকার পতনের আগ মুহূর্তেও “জামায়াত” কে ও নিষিদ্ধ করেছিল। এর আগে প্রায় ১৫ বছর তো হামলা-মামলার নির্যাতন ছিলোই। সরকার পতনের পরে কি হয়েছে জামায়াতের? সেই জামায়াত এখন আগের থেকেও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। তাহলে কি হবে এই নিষিদ্ধকরণ করে?
আওয়ামীলীগ সরকার কিন্তু ফেরায় নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতায় এসেছিল। পরবর্তীতে নিজের মতো করে নির্বাচন সাজিয়ে মানুষের প্রকৃত ভোটাধিকার কেড়ে নেয় এবং অর্থ পাচার, গুম, খুন (১৫ বছর শাসনামলে ক্ষমতার অপব্যবহার) এইসব কারণে মানুষ আস্তে আস্তে আস্থা হারিয়ে ফেলে এবং একটা সময় তাদের পতন বা ক্ষমতার অবসান হয়।
এখন আমারা যদি আবার সেই একই খেলা খেলি তাহলে আমাদের আর পরিবর্তন হলো কোথায়? সেই তো একই সিস্টেমের ভিন্ন রুপ। কি পরিবর্তন হলো আমাদের মতো সাধারণ মানুষের? শুধু চেয়ারের মানুষগুলো পরিবর্তন হলো, চেয়ার তো একই রয়ে গেলো!
আগে জামায়াত কে ব্যান করে আওয়ামীলীগ একচেটিয়া ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলো, ক্ষমতার খুঁটি শক্ত করে বসতে চেয়েছিলো। এখন কি তাহলে আপনারাও সেটাই করতে চাচ্ছেন?
ভিন্ন মতের রাজনীতিতে আমি বিশ্বাসী। আজ আপনি ভালো আছেন। আওয়ামী লীগের মতো পাঁচ বছর, দশ বছর বা পনের বছর পর যে আপনি ভালো থাকবেন এর গ্যারান্টি কে দিবে? আপনি বা আপনারা তো এর থেকেও বড় স্বৈরাচার হতে পারেন।
ভিন্ন মতের রাজনীতি থাকবে, সকল দল থাকবে। দল মত নির্বিশেষে সাধারণ জনগণ যাকে চাইবে সেই হবে জনপ্রতিনিধি বসবে ক্ষমতার মসনদে। যদি এমন হয় আপনি বা আপনারা স্বৈরাচার বা তাদের মতো আচরণ করেন। তখন কি হবে?
তখন হয়তোবা এই আওয়ামীলীগ ই আবার সাধারণ জনগণের হয়ে ফিরে আসবে! আমি কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব না এদেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমার যতটুকু ভাবনা তাই তুলে ধরলাম, হয়তোবা আপনাদের মতো গুছিয়েও লিখতে পারি নাই। যারা “আওয়ামী-লীগ নিষিদ্ধকরণ কতটা ফলপ্রসূ হবে?”। পুরোটা পড়েছেন, ধন্যবাদ।
লিখেছেনঃ বাকি